Close

মিশরীয় সভ্যতা | মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাস

মিশরীয় সভ্যতা (Ancient Egypt in Bengali)

মিশরীয় সভ্যতা হলো উত্তর আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের একটি প্রাচীনতম সভ্যতা। এই সভ্যতা নীল নদের অববাহিকায় গড়ে ওঠে। প্রথম রাজবংশের শাসন আমলে খ্রিষ্টপূর্ব ৩২০০ অব্দ থেকে মিশরে ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। এই সময় মেনেসের নেতৃত্বে এ সভ্যতার শুরু হয়েছিলো এবং যা পরবর্তীতে প্রায় ২৫০০ বছরের বেশি সময়ব্যাপী স্থায়ী হয়েছিল। মিশর প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা ফারাওদের অধীনে অগ্রগতিতে একের পর সাফল্য লাভ করে। এর মধ্যে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে মিশরীয় পিরামিড ও মমি। মূলত মৃতদেহকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা দেহকে মমি করে রাখত এবং এ মমিগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য তারা পিরামিড তৈরি করেছিল।

লিপি বা অক্ষর আবিষ্কার ছিল মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নগর সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই মিশরীয় লিখনপদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। প্রথম দিকে মিশরীয়রা ছবি অঙ্কন করে মনের ভাব প্রকাশ করত, যা চিত্রলিপি নামে পরিচিত ছিল। আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে মিশরীয়রাই সর্বপ্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা আবিষ্কার করে। মিশরীয় চিত্রলিপিকে হায়ারোগ্লিফিক বা পবিত্র অক্ষর বলা হতো, যা রাজাদের আদেশ প্রচার ও ধর্মীয় বাণী হিসেবে ব্যবহার হতো। এছাড়াও মিশরীয়রা লিখনপদ্ধতি আবিষ্কারের পাশাপাশি লেখার জন্য নলখাগড়া জাতীয় গাছের কাণ্ড থেকে কাগজ তৈরি করা শেখে। এ কাগজের ওপর তারা লিখতে শুরু করে। গ্রিকরা এই কাগজের নাম দেয় প্যাপিরাস, যা থেকেই বর্তমানে ইংরেজি পেপার শব্দের উৎপত্তি।

আরও পড়ুন

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *