পরিমাপ কাকে বলে
কোন কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করার প্রক্রিয়াকে পরিমাপ বলে। যে কোন ভৌত সত্তা সম্পর্কে পরিমাণ বিষয়ে ধারণার জন্য পরিমাপের প্রয়োজন হয়। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা অনেক রকম পরিমাপ করে থাকি।
পরিমাপের উদাহরণ
- বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব 500 মিটার । এখানে 500 মিটার হলো দৈর্ঘ্যের পরিমাপ।
- 1 কিলোগ্রাম চিনির দাম 50 টাকা। এখানে 1 কিলোগ্রাম হলো ভরের পরিমাপ।
পরিমাপের একক
কোন ভৌত রাশিকে পরিমাপ করতে হলে ঐ জাতীয় রাশির একটা নির্দিষ্ট ও সুবিধাজনক অংশ বা খণ্ডকে প্রমাণ হিসেবে ধরে সমগ্র রাশিটি বা বস্তুটি ঐ নির্দিষ্ট মূল পরিমাপের কত গুণ বা কত অংশ তা নির্ণয় করলেই ভৌত রাশিটির পরিমাপ পাওয়া যায়। যে আদর্শ বা মূল পরিমাণের সাথে তুলনা করে ভৌত রাশিটির পরিমাপ করা হয় তাকে বলা হয় পরিমাপের একক। পরিমাপের একক দুই প্রকার, যেমন-
- মৌলিক একক ও
- লব্ধ একক।
1. মৌলিক একক
মৌলিক রাশিগুলোর একককে মৌলিক একক বলা হয়। উদাহরণ- মিটার, সেকেন্ড, কিলোগ্রাম, ক্যান্ডেলা, কেলভিন, মোল, অ্যাম্পিয়ার।
2. লব্ধএকক
কিছু একক মৌলিক একক থেকে লাভ করা যায় ঐ জাতীয় একককে লব্ধ একক বলে। যেমন- বলের একক নিউটন।
পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা
- আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি কাজে পরিমাপের ব্যাপারটি জড়িত রয়েছে। যেকোন কিছু পরিমাপ করার জন্য পরিমাপের এককের প্রয়োজন হয়।
- বিভিন্ন ধরনের রাশির মাত্রা বিভিন্ন হয়ে থাকে। যেমনঃ দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, তাপমাত্রা একই একক দ্বারা মাপা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন একক।
আরও পড়ুন