ভাষা কাকে বলে (What is the language?)
আমরা মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যেসব কথা বলে থাকি, তাকিই ভাষা বলা হয়। যেমন– আমি স্কুলে যাই, আমি খেলা করি, সে গান গায় ইত্যাদি।
ভাষার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of language)
যেকোন ভাষার বিশেষ কতগুলো বৈশিষ্ট্য আছে বা থাকে। ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- ভাষা মনের ভাব বা আবেগ প্রকাশ করে।
- ভাষা এক ধরনের ধ্বনি বা ধ্বনির সমষ্টি।
- ধ্বনিগুলো মানুষের কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়ে থাকে।
- ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনিগুলো অর্থযুক্ত হতে হবে।
- ধ্বনি দ্বারা তৈরি শব্দগুলো বাক্য গঠনে ব্যবহৃত হয়।
- কোনো এক অঞ্চলে মানুষ ভাষাকে ব্যবহার করে বা কোন এক সময় করত।
- প্রতিটি ভাষা তার নিজস্ব ক্ষেত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম অবস্থানে থাকে।
ভাষা কত প্রকার ও কি কি?
ভাষা প্রধানত দুই প্রকার। যেমন
- কথ্য ভাষা বা মুখের ভাষা/মৌখিক ভাষা এবং
- লেখ্য ভাষা বা লিখিত (লেখার জন্য ববহৃত) ভাষা।
১। কথ্য বা মৌখিক ভাষা
সাধারণত আমরা যে ভাষায় কথা বলি, একে অপরের মধ্যে ভাব আদান-প্রদান করি কিংবা আগেব অনুভূতি প্রকাশ করি, তাকে কথ্য ভাষা বা মৌখিক ভাষা বলা হয়।
কথ্য ভাষা দুই প্রকার হয়ে থাকে। যেমন- (ক) আঞ্চলিক ভাষা ও (খ) সর্বজনীন ভাষা।
আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য গুলো হলোঃ-
- এই ভাষা বিশেষ কোন অঞ্চলের মানুষের ব্যবহৃত ভাষা।
- আঞ্চলিক ভাষা সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তনশীল।
- এটা বাংলাদেশের লোক-সংস্কৃতির সম্পদ হিসেবে ধরা হয়।
- আঞ্চলিক ভাষার রূপ কৃত্রিম নয়।
- আঞ্চলিক ভাষা গণসাহিত্য সৃষ্টির অন্যতম উপযোগী ভাষা।
- আঞ্চলিক ভাষা সহজ হয়, ব্যাকরণের কঠিন নিয়ম মেনে চলে না।
২। লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা
যে ভাষায় বই-পুস্তক, চিঠি-পত্র বা অন্যান্য যে কোন কিছু লেখা হয় তাকে লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা বলে। লেখ্য ভাষা আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- (ক) সাধু ভাষা ও (খ) চলিত ভাষা।
সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য গুলো হলোঃ-
- এটা কেবল লেখ্য ভাষারূপে প্রচলিত থাকে।
- সাধু ভাষার উচ্চারণ গুরুগম্ভীর হয়।
- এই ভাষা অপরিবর্তনীয় বা পরিবর্তন হয় না।
- সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়।
- সাধু ভাষা কথাবার্তা, বক্তৃতা বা নাটকের সংলাপ উপযোগী নয়।
- সাধু ভাষায় ব্যাকরণের নিয়ম-কানুন গুলো কঠোরভাবে মেনে চলে।
আরো পড়ুন