স্তন ক্যানসার রোধে করণীয়
বর্তমান বিশ্বজুড়ে ৭০ বছরের কম বয়সী মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো ক্যানসার। এর মধ্যে বিশেষ করে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসার তুলনা মূলকভাবে বেশি দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয় এবং বছরে প্রায় সাত লাখ নারী মারা যান।
সাধারণত, উন্নত দেশগুলোয় স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের হার বেশি দেখা যায়। তবে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোয় মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যেও অনেক বেশি স্তন ক্যানসার রোগ দেখা যায়। তাই, আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি,নারীর ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকারের উপায়।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ
স্থান ক্যান্সারের লক্ষণগুলো বিভিন্ন ভাবে দেখা দিতে পারে। স্তন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হলোঃ
- বগলের নিচে বা স্তনে চাকা অনুভব করা অথবা ঘা হওয়া
- স্তনের আকার ও আকৃতিতে বিশেষ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হওয়া।
- স্তনে চুলকানো বা লাল হয়ে যাওয়া সমস্যা।
- ব্রেস্ট ফুলে ওঠা
- স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া
- স্তনের চারপাশের চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি
কোন নারীর এমন লক্ষণ দেখা দিলে দেরী না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিৎ।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ
স্তন ক্যানসার হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলোঃ
- কম বয়সে মাসিক শুরু হওয়া
- বেশি বয়সে প্রথম সন্তানের জন্মদান
- মাসিক বন্ধ হতে দেরি হওয়া
- সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো
- দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করা
- অতিরিক্ত মদ্যপান করা
- দেহের ওজন নিয়ন্ত না করা বা স্থূলতা।
- হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ব্যবহার
- পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কখনও স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকা। এবং
- দেহে বিআরসিএ১ ও বিআরসিএ২ জিনের রূপান্তর হওয়া।
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। নিজে নিজে নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কিংবা ব্যায়াম করা বেশ জরুরি। খাবার মেনুতে পরিবর্তনা আনতে পারেন। যেমন, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মদ্যপান বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়ার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। প্রিয়ড বিরতিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ