উপাসনা কাকে বলে
উপাসনা শব্দের অর্থ হলো ঈশ্বরকে স্মরণ করা এবং একাগ্রচিত্তে ইশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য আরাধনা করা। অর্থাৎ, একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরকে স্মরণ করা ও তাঁর আরাধনা করাকেই উপাসনা বলা হয়।
উপাসনা দুই প্রকার হয়ে থাকে। যেমন-
- সাকার উপাসনা ও
- নিরাকার উপাসনা।
সাকার উপাসনা
সাকার’ শব্দের অর্থ হলো যার রূপ বা আকার আছে। যেমন- ব্রহ্মা, দুর্গা, বিষ্ণু, শিব, কালী, সরস্বতী প্রভৃতি দেব-দেবী হলেন ঈশ্বরের সাকার রূপ যা আমরা প্রতিমূর্তি আকাড়ে দেখতে পাই। অর্থাৎ এসব দেব-দেবীর মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা বা প্রার্থনা করাই সাকার উপাসনা।
নিরাকার উপাসনা
‘নিরাকার’ অর্থ হেলো যার কোনো রূপ বা আকার নেই। নিরাকার উপাসনায় উপাসকগণ বা ভক্তরা নিজেদের অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করে আরাধনা করে। তাঁর স্তব-স্তুতির মাধ্যমে প্রার্থনা জানান। ঈশ্বরের নিরাকার ভাবকে বলা হয় ব্রহ্মভাব। সুতরাং ঈশ্বরকে ব্রহ্মভাবে উপাসনা বা আরাধনা করাই হলো নিরাকার উপাসনা।
আমরা উপাসনা করব কেন?
ইশ্বরের প্রতি উপাসনা মানুষকে সৎপথে ও ধর্মপথে পরিচালিত করে সুন্দর জীবন গড়ে তোলে। এর ফলে মনে স্থিরতা, আত্মতৃপ্তি ও একাগ্রতা আসে। এই একাগ্রতা শুধু ধর্ম পালনের ক্ষেত্রেই নয়, জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন। উপাসনা করে আমরা সৎ জীবন যাপন করতে পারি ও ধার্মিক হতে পারি। ফলে আমাদের সমাজে সব সময় শান্তি বিজার করে। আমদের ভালো থাকার জন্য সৎপথে চলা ও জীবনকে সুন্দর করার জন্য নিয়মিত উপাসনা করা উচিৎ।
আরো পড়ুন