আলোর প্রতিফলন কাকে বলে
আলো বায়ু বা অন্য যে কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে চলাচলের সময় অন্য কোনো মাধ্যমে বাধা পেয়ে দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলো আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। তাকে আলোর প্রতিফলন বলা হয়।
আলোর প্রতিফলন কি কি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল
প্রতিফলক পৃষ্ঠে আপতিত আলোর কতটুকু পরিমান প্রতিফলিত হবে তা কেবল দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন–
i. আপতিত আলো প্রতিফলকের উপর কত কোণে আপতিত হচ্ছে এবং
ii. প্রতিফলক পৃষ্ঠের প্রকৃতির কেমন তার উপর নির্ভর করে।
আলোর প্রতিফলন কত প্রকার?
আলোর প্রতিফলন দুই প্রকার হয়ে থাকে। যতা- ১। নিয়মিত প্রতিফলন (Regular Reflection), এবং ২। ব্যাপ্ত প্রতিফলন (Diffused Reflection)। নিম্নে আলোর দুই প্রকার প্রতিফলন নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ-
১। নিয়মিত প্রতিফলন (Regular Reflection)
যদি কোন একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি কোন পৃষ্ঠে বা বস্তুতে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল থাকে বা অভিসারীগুচ্ছে রুপান্তরিত হয়, তাহলে সেই জাতীয় প্রতিফলনকে নিয়মিত প্রতিফলন বলা হয়।
সাধারণত, প্রতিফলক পৃষ্ঠ মসৃণ হলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে থাকে। এছাড়াও সমতল দর্পণেও আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে।
২। ব্যাপ্ত প্রতিফলন (Diffused Reflection)
যদি একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি কোন পৃষ্ঠে বা বস্তুতে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর তাহা আর সমান্তরাল থাকেনা এবং অভিসারী বা অপসারী আলোকরশ্মিতে রুপান্তরিত হয় না, তখন তাকে ব্যাপ্ত প্রতিফলন বলে।
ব্যাপ্ত প্রতিফলন অমসৃণ বা মসৃণ নয় এমন প্রতিফলক পৃষ্ঠ থেকে ঘটে। এক্ষেত্রে সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুলো যখন পতিফলক পৃষ্ঠ আপতিত হয় তখন বিভিন্ন বিন্দুতে আপতিত হয়, ফলে এদের প্রতিফলন কোণগুলোও বিভিন্ন হয়ে থাকে। কাগজ, ঘরের দেওয়াল, ঘষা কাচ ইত্যাদি অমসৃণ পৃষ্ঠ বলে আলোক রশ্মির ব্যাপ্ত প্রতিফলন ঘটে।
সমাপনী
আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করলাম আলোর প্রতিফলন কাকে বলে এবং আলোর প্রতিফলন কি কি বিষয়ের উপর নির্ভশীল। এছাড়া প্রকারভেদসহ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। আশা করি সবই বুঝতে পেরেছেন। এবিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ