আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি, কুফর শব্দের অর্থ কি বা কুফর কাকে বলে।
কুফর শব্দের অর্থ কি
কুফর শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো অস্বীকার করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় কুফর বলা হয়, যে সকল বিষয়ের উপর ঈমান আনা জরুরী, ঐ সকল বিষয়গুলোর কোন একটাকে অস্বীকার করা
কুফর কাকে বলে
ইমানের যে সকল বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা প্রত্যেকের আবশ্যক কোন ব্যক্তি তার কোন একটিও অস্বীকার করলে তাকে কুফর বলে।
কোন ব্যক্তি নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে, ইমানে মুফাসসাল এ বর্ণিত সাতটি মৌলিক বিষয়গুলো অবশ্যই তাকে অন্তর থেকে বিশ্বাস করতে হবে।
ইমানে মুফাসসাল এ বর্ণিত মৌলিক বিষয়গুলো হচ্ছে
- আল্লাহ্ পাকের জাত ও ছিফাত
- সমস্ত ফেরেস্তাগণ
- সকল আসমানি কিতাব
- সকল নবী ও রাসূলগণ
- আখেরাত বা পরকাল এর প্রতি বিশ্বাস
- তাক্বদীর
- মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার প্রতি বিশ্বাস।
উপরোল্লেখিত সাতটি বিষয় অন্তর দ্বারা বিশ্বাস করার নামই হলো ঈমান। এর যে কোন একটি বিষয় অস্বীকার করাকে কুফর বলা হয়।
শরীয়তের কোন বিধানকে না মানা বা আমল না করাকে ফাসেক বলে। তবে শরীয়তের কোন দলিল, যেমন- পবিত্র কুরআন এর কোন আয়াত বা রাসূল (সা.) এর বিশাল হাদিস ভান্ডার থেকে কোন হাদিস বা সুন্নাহকে অস্বীকার করাও কুফরীর অন্তর্ভূক্ত।
শরীয়তের কোন ফরজ ইবাদত যেমন নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, সত্যবাদিতা, নারী জাতির পর্দা, আমানত ইত্যাদি ইবাদতসমূহ হতে কোন একটিকে অস্বীকার করা এবং হারামকে হালাল বা হালালকে হারাম বলে বিশ্বাস করা কুফরী বলে বিবেচিত। আল্লাহ্ তায়ালার সত্তা ও ছিফাতের সহিত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর প্রতি অথবা তাহার কোন সুন্নাতের প্রতি কটাক্য বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য অথবা গালি-গালাজ বা খারাপ মন্তব্যকারী অবশ্যই কাফের বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনঃ